আইসল্যান্ডের বিপক্ষে নাটকীয় দুই গোলে বেঁচে গেল ফ্রান্স


সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বা অতীত ইতিহাস দুটোই ছিলো বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের পক্ষে। কিন্তু সব পরিসংখ্যান বা অন্যান্য প্রভাবককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিল আইসল্যান্ড। জাগিয়েছিলো ফ্রান্সের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম জয়ের সম্ভাবনাও।
তবে নিজেদের কপাল জোরে ম্যাচের একদম শেষ দিকে জোড়া গোল করে কোনোভাবে হার এড়িয়েছে দিদিয়ের দেশমের দল। এতে অবশ্য আইসল্যান্ডের অবদানও কম নয়। গোলশূন্য থাকা ফ্রান্সকে প্রথম গোলটা যে তারাই উপহার দিয়েছিল।
গুইগাম্পের স্তাদিও রুদুরোতে হওয়া ম্যাচে ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আইসল্যান্ড। কিন্তু ৮৬তম মিনিটে আত্মঘাতী গোল ও অতিরিক্ত সময়ে কাইলিয়ান এমবাপের গোলে হার এড়ায় ফ্রান্স। মুখোমুখি ১৩তম দ্বৈরথে চতুর্থ ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে আইসল্যান্ড।
ম্যাচের শুরু থেকে ফেবারিটের মতোই খেলতে থাকে স্বাগতিক ফ্রান্স। তবে খেলার ধারার বিপরীতে ম্যাচের ৩০তম মিনিটে প্রথম গোল পেয়ে যায় আইসল্যান্ড। আলফ্রেড ফিনবোগাসনের বাড়ানো বল নিখুঁত প্লেসিং শটে ঠিকানায় পৌঁছে দেন বিরকির বিয়ারনাসন।
দ্বিতীয়ার্ধের ১৩তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান কার্ল আরনাসন। গিলফি সিগুর্দসনের কর্নারে কারি আরনাসনের হেড ক্রসবারের ভেতরের কোণায় লেগে জালে জড়ায়। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে খানিক কোণঠাসা হয়ে পড়ে ফ্রান্স। মরিয়া হয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে।
ম্যাচের ৮৬তম মিনিটে ইয়োলফসন আত্মঘাতী গোল করে ম্যাচে ফেরান ফ্রান্সকে। আর ৯১তম মিনিটে গোল করে দলকে নিশ্চিত পরাজয়ের হাত থেকে উদ্ধার করেন ফ্রান্সের তরুণ তারকা কাইলিয়ান এমবাপে।

Post a Comment

0 Comments