কিংবদন্তি ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনা সব সময়ই বিতর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের জন্ম দিয়ে আলোচনায় থাকেন। সম্প্রতি তার আরো তিন সন্তানের খোঁজ মেলায় আবারো আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি।
১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়কের আইনজীবী ম্যাটিয়াস মোরলা জানান, চলতি বছরের শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন তিন সন্তানকে স্বীকৃতি দেবেন শতাব্দীর সেরা এই গোলদাতা। দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর এই স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছেন তিনি।
কিউবায় অবস্থান করছেন এ তিন সন্তান। সেখানে দুই মায়ের ঘরে জন্ম নিয়েছেন তারা। শিগগিরই পিতৃত্ব প্রমাণের পরীক্ষা দিতে দেশটির রাজধানী হাভানায় যাচ্ছেন ম্যারাডোনা।
ম্যারাডোনা ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে দীর্ঘ সময় কিউবায় কাটিয়েছেন। কোকেনের নেশা থেকে মুক্তি পেতে সেখানে চিকিৎসা নেন তিনি। কিউবার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফিদেল ক্যাস্ত্রোর সঙ্গে তার গভীর বন্ধুত্ব ছিল।
এর আগেও আরও দুই নারী আইনী লড়াই করে ম্যারাডোনার কাছ থেকে নিজেদের সন্তানের পিতৃত্বের পরিচয় আদায় করে নিয়েছেন। ওই দুই সন্তানের নাম ডিয়েগো জুনিয়র (৩২) ও জনা (২২)।
তার আগে ম্যারাডোনা বলেছিলেন, দিলমা (৩১) ও জিয়ান্নিনা (২৯) ছাড়া আমার আর কোনও সন্তান নেই। সাবেক স্ত্রী ক্লাউদিয়া ভিল্লাফানে এ দুই মেয়ের মা।
ম্যারাডোনা-ক্লাউদিয়া দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর একসঙ্গে ছিলেন। মেয়েদের ইচ্ছায় একসময় বিয়ে করেন তারা। তবে এ জুটির সংসার খুব বেশিদিন টেকেনি। ২০০৩ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
ম্যারাডোনার বর্তমান বান্ধবী ভেরোনিকা ওজেদা। তাদের ঘরে ডিয়েগো ফার্নান্দো নামে ছয় বছরের একটি ছেলে আছে।
বর্তমানে ডিয়েগো ম্যারাডোনার স্বীকৃত সন্তান রয়েছেন পাঁচজন। তিন সন্তানকে পিতৃত্বের স্বীকৃতি দেয়ার পর ৫৮ বছর বয়সী এই মহাতারকার সন্তান সংখ্যা হবে আট।
তবে এ নিয়ে কটূক্তিপূর্ণ ইঙ্গিত করেছেন ম্যারাডোনার মেজো মেয়ে জিয়ান্নিনা। সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে শুক্রবার তিনি লেখেন, আস্ত একটা ফুটবল একাদশ গঠন করতে আর মাত্র তিন সন্তান দরকার। অবশ্যই আপনি পারবেন।
0 Comments